আইইউডি (কপারটি)
আইইউডি কি :
আইইউডি বা Intra-uterine device প্রজেস্টেরন হরমোন সম্বলিত জরায়ুতে স্থাপন উপযোগী অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি গর্ভনিরোধক/ জন্মনিওন্ত্রন উপকরণ ।
কপার-টি ৩৮০ এ:
ইংরেজি “T” অক্ষরের মতো দেখতে এ উপকরণটি পলিইথিলিন প্লাস্টিকের তৈরি এবং এর দন্ডে তামার সূক্ষ্ম তার ও বাহুতে তামার সূক্ষ্ম পাত জড়ানো থাকে । এতে তামার মোট আয়তন ৩৮০ বর্গ মিলিমিটার। এখান থেকে কপার অণু ধীরে ধীরে জরায়ুতে নিঃসৃত হয় । কপার-টি’র লম্বা দন্ডের সাথে ২টি নাইলনের সুতা লাগানো থাকে। কপার-টি ৩৮০এ খুবই কার্যকরী। কপার-টি ৩৮০এ’র প্রথম বছরে গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা শতকরা ০.৭ ভাগ মাত্র ।
আইইউডি কিভাবে কাজ করে
আইইউডি শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় । আইইউডি জরায়ুতে এবং ফেলোপিয়ান টিউবে কপার অণু, এনজাইম, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন এবং শ্বেতকণিকা (ম্যাক্রোফেজ) বাড়িয়ে দেয়, যা শুক্রাণুর কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় এবং নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় ।
আইইউডি কাদের জন্য উপযোগী
বেশিরভাগ মহিলাই নিরাপদ ও কার্যকরভাবে আইইউডি ব্যবহার করতে পারেন, যেমন-
·
অন্ততঃ একটি জীবিত সন্তান আছে এবং দীর্ঘ দিনের জন্য গর্ভরোধ করতে চান ।
·
হরমোন সমৃদ্ধ পদ্ধতি ব্যবহার করতে যারা সমস্যা বোধ করেন ।
আইইউডি সুবিধা
·
খুবই কার্যকরী (৯৯.৯%) ।
·
দীর্ঘমেয়াদি (১০ বৎসর) ।
·
প্রয়োগ করার সাথে সাথেই কার্যকর হয় ।
·
ব্যবহারে বুকের দুধের কোন তারতম্য হয় না ।
·
পদ্ধতি ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথেই গর্ভধারণ ক্ষমতা ফিরে আসে ।
·
হরমোনজনিত সমস্যা নেই ।
·
প্রতিদিন ব্যবহারের (কনডম) বা খাওয়ার (বড়ি) ঝামেলা নেই ।
আইইউডি ব্যাবহারের অসুবিধা
·
কোন কোন গ্রহীতার ক্ষেত্রে প্রথম কয়েক মাস তলপেটে ব্যথা হতে পারে ।
·
কোন কোন গ্রহীতার ক্ষেত্রে প্রথম কয়েক মাস মাসিকের সময় রক্তস্রাব বেশি হতে পারে ।
·
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইইউডি জরায়ু থেকে বের হয়ে আসতে পারে ।
·
কদাচিৎ জরায়ু ছিদ্র হয়ে যেতে পারে ।
·
সুতাজনিত সমস্যা হতে পারে (সুতা উপরে উঠে যেতে পারে, লম্বা থাকতে পারে, ছোট হতে পারে) ।
·
পরতে ও খুলতে হলে সেবাদান কেন্দ্রে যেতে হয় ।
আইইউডি কখন ব্যবহার করা যায়
একজন গ্রহীতা আইইউডি কখন ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে তার অবস্থার উপর । নিচে গ্রহীতার বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে আইইউডি প্রয়োগের সময় সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো ।
গ্রহীতার অবস্থা |
আইইউডি প্রয়োগের সময় |
মাসিকচক্রের সময় |
·
মাসিকচক্রের যে
কোন
সময়
আইইউডি প্রয়োগ করা
যায়
। কিন্তু মাসিকের ১
থেকে
৭
দিনের মধ্যে পরানোই উত্তম ।
কারণ o এ সময়ে গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা থাকে
না
। o এ সময় সারভিক্স কিছুটা নরম
ও
খোলা
থাকে
। o মাসিকের সময়ে বা ঠিক
পরে
আইইউডি পরালে জরায়ুর মুখ
নরম
থাকে,
রক্তপাত ও
মাংসপেশিতে ব্যথা কম
হয়।
ফলে
গ্রহীতা ভয়
পাবার আশঙ্কা অনেক
কমে
যায়
। ·
শেষ মাসিকের পর
যদি
স্বামীর সাথে
মিলিত না
হয়
এবং
যদি
গ্রহীতা গর্ভবতী নয়
নিশ্চিত হন,
তবে
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে
। |
পদ্ধতি পরিবর্তন করার
সময় |
·
যদি গ্রহীতা সঠিক
নিয়মে বড়ি,
কনডম
এবং
ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারকালীন সময়ে
পদ্ধতি পরিবর্তন করে
আইইউডি গ্রহণ করতে
চায়
তবে
তা
সাথে
সাথে
দেয়া
যায়
। ·
ইনজেকশন গ্রহীতার ক্ষেত্রে ইনিজেকশনের পরবর্তী ডোজ
নেয়ার আগে
আইইউডি প্রয়োগ করতে
হবে। |
প্রসব-পরবর্তী সময় |
·
স্বাভাবিক প্রসবের পর
জরায়ুর ফুল
বের
হওয়ার পর
হতে
৪৮
ঘন্টা পর্যন্ত; যদি
৪৮
ঘন্টার মধ্যে প্রয়োগ করা
না
যায়
তবে
৪
সপ্তাহ পর্যন্ত প্রয়োগ করা
যাবে
না
। ·
সিজারিয়ান অপারেশনের সময়
। |
বাচ্চা বুকের দুধ
খাওয়ানোর সময়
প্রসবের ৬
মাস
এর
আগে |
·
প্রসবের ৪
সপ্তাহ থেকে
৬
মাস
পর্যন্ত যদি
সন্তান শুধুমাত্র বুকের দুধ
খায়
এবং
আর
মাসিক না
হয়
তবে
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে
। ·
যদি সন্তান শুধুমাত্র বুকের দুধ
খায়
কিন্তু মাসিক শুরু
হয়ে
যায়,
তবে
মাসিকচক্রে সময়
অনুযায়ী আইইউডি প্রয়োগ করতে
হবে
। |
বাচ্চা বুকের দুধ
খাওয়ানোর সময়
প্রসবের ৬
মাস
পর |
·
যদি মাসিক ফিরে
না
আসে
তবে
যে
কোন
সময়ে
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে,
যদি
গর্ভবতী নয়
নিশ্চিত হন
। ·
যদি মাসিক শুরু
হয়ে
যায়
তবে
মাসিকচক্রের সময়
অনুযায়ী আইইউডি প্রয়োগ করতে
হবে
। |
বাচ্চা বুকের দুধ
না
খেলে
প্রসবের ৪
সপ্তাহ পর |
·
যদি মাসিক ফিরে
না
আসে
তবে
যে
কোন
সময়ে
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে,
যদি
গর্ভবতী নয়
নিশ্চিত হন
। ·
যদি মাসিক শুরু
হয়ে
যায়
তবে
মাসিকচক্রের সময়
অনুযায়ী আইইউডি প্রয়োগ করতে
হবে
। |
কোন
মাসিক স্রাব নেই
(প্রসবের সাথে
বা
বাচ্চার বুকের দুধ
খাওয়ার সাথে
সম্পর্কিত নয়) |
·
যে কোন
সময়ে
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে,
যদি
গর্ভবতী নয়
নিশ্চিত হন
। |
গর্ভপাতের পর |
·
গর্ভের প্রথম ৩
মাসের মধ্যে বা
৬
মাসের মধ্যে গর্ভপাত ঘটলে
যদি
নিশ্চিত হওয়া
যায়
যে
কোন
সংক্রমণ নেই,
তবে
সাথে
সাথে
বা
৭
দিনের মধ্যে আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে
। ·
যদি গর্ভপাত হওয়ার ৭
দিনের বেশি
সময়
পার
হয়ে
যায়,
তবে
যে
কোন
সময়ে
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে
যদি
গর্ভবতী নয়
নিশ্চিত হন। ·
যদি সংক্রমণ থাকে
তবে
গ্রহীতাকে চিকিৎসা দিতে
হবে
বা
চিকিৎসার জন্য
রেফার করতে
হবে
। এ সময়ে
গ্রহীতাকে অন্য
কোন
পদ্ধতি পছন্দ করতে
বলতে
হবে
। গ্রহীতাকে সংক্রমণ ভাল
হওয়ার পর
আইইউডি প্রয়োগ করা
যাবে
। ·
গর্ভের ৬
মাসের পর
গর্ভপাত হলে
আইইউডি প্রয়োগ করার
জন্য
বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়
। যদি প্রশিক্ষণ না
থাকে
তবে
কমপক্ষে ৪
সপ্তাহ অপেক্ষা করতে
হবে
এবং
তারপর প্রয়োগ করতে
হবে
। |
জরুরী গর্ভনিরোধক হিসেবে |
·
অরক্ষিত সহবাসের ৫
দিনের মধ্যে । |
প্রসবের পর যে সময় আইইউডি প্রয়োগ করা যাবে না
প্রসবের পর ৪৮ ঘন্টা থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত আইইউডি প্রয়োগ করা বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থা অনুমোদন করে না । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিক্যাল বিবেচনার উপযুক্ততা যাচাইয়ে দেখা গেছে যে, তুলনামূলকভাবে উক্ত সময়ে আইইউডি জরায়ু থেকে বের হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
আইইউডি প্রয়োগের পরবর্তী সেবাসমূহ ও ব্যবস্থাপনা
কোন কোন মহিলা আইইউডি প্রয়োগের পরপরই সাময়িকভাবে মূর্ছা যেতে পারেন অথবা পেটে ব্যথা বা পেশিতে টান অনুভব করতে পারেন । এরকম সম্ভাবনা এড়াতে চাইলে-
·
আইইউডি প্রয়োগের ৩০ মিনিট পূর্বে গ্রহীতা সেবা প্রদানকারীর সাথে আলোচনা করে একটি ৪০০ মি.গ্রা. আইবুপ্রোফেন ট্যাবলেট খাবেন ।
·
আইইউডি প্রয়োগের পর পর্যবেক্ষণের জন্য ১০-১৫ মিনিট গ্রহীতাকে শুয়ে থাকতে হবে ।
·
ভ্যাসোভেগাল প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যদি তা খুব মারাত্মক হয়, তাহলে সেবাদাঙ্কারির সাহায্যে তাকে এট্রোপিন সালফেট ০.৪ মি.গ্রা. ইনজেকশন মাংসপেশিতে বা শিরায় নিতে হবে ।
·
যদি গ্রহীতা পেটের পেশীতে টানের জন্য অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে ব্যথা নিবারণের জন্য তাকে আইবুপ্রোফেন বড়ি খেতে হবে । তবে এসব পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য খুব সতর্কতার সাথে আস্তে আস্তে আইইউডি পরানো যেতে পারে ।
·
গ্রহীতা যদি তীব্র ব্যথা এবং পেশীর টান খুব বেশি অস্বস্তিকর হয় এবং এর সাথে যদি জরায়ু থেকে রক্তপাত শুরু হয় ও সুতা হারিয়ে যায়, তাহলে মনে করতে হবে জরায়ু ছিদ্র হয়ে গিয়েছে । এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বা কোন হাসপাতালে যেতে হবে । গর্ভপাত-পরবর্তী আইইউডি প্রয়োগ
সাধারণ অর্থে আপনি গর্ভপাতের পর বা নিজ ইচ্ছায় গর্ভপাতের পর আইইউডি প্রয়োগকে গর্ভপাত-পরবর্তী আইইউডি বলা হয় ।
·
প্রথম তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত হলে, স্বাভাবিক সময়ে ইনসার্টার টিউব ব্যবহার করে আইইউডি প্রয়োগ করা হয়। এ সময় সারভিক্স সামান্য প্রসারিত থাকে; ইনসার্টার টিউব সহজেই ঢোকানো যায়; জরায়ু ছোট এবং দৃঢ় থাকে; ইনসার্টার টিউব দিয়ে জরায়ু ছিদ্র হওয়ার সম্ভাবনার ঝুঁকি কম থাকে ।
·
ছয় মাসের মধ্যে গর্ভপাত হলে ক্যালী ফরসেপ ব্যবহার করে আইইউডি প্রয়োগ করা যেতে পারে । ফরসেপ তখনই ব্যবহার করা যায়, যখন সারভিস যথেষ্ট উন্মুক্ত থাকে। অন্যথায় স্বাভাবিক সময়ে যেভাবে আইইউডি প্রয়োগ করা হয় সেভাবে করতে হবে । এ সময় আইইউডি প্রয়োগ করার জন্য সেবা প্রদানকারীকে দক্ষ বা বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হবে ।
আইইউডি প্রয়োগের পর যৌনমিলন
কোন সমস্যা না থাকলে আইইউডি জরায়ুতে স্থাপনের দিন হতেই সহবাস করা যায় । তবে, টেনাকুলাম ধরার স্থানে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, কনডম ছাড়া যৌন মিলনের ফলে সেখানে সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থাকে । ৭ দিন পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায় ।
আইইউডি সেবা কোথায় পাওয়া যায়
আমাদের দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্বীকৃত এনজিও/ বেসরকারি ক্লিনিকে আইইউডি সেবা পাওয়া যায় । তাছাড়া পর্যাপ্ত সুবিধাদি থাকলে স্যাটেলাইট ক্লিনিকেও এই সেবা দেয়া সম্ভব ।
আইইউডি ফলো-আপ
আইইউডি পদ্ধতি গ্রহণকারীকে নিয়মিত ফলোআপ করতে হবে এবং এর জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আথবা সেবা প্রদানকারীর কাছে যেতে হবে। আইইউডি ব্যবহারে কোন সমস্যা হচ্ছে কি-না এবং তা সঠিকভাবে কাজ করছে কি-না তা জানার জন্য ৩ বার ফলো-আপ করা হয়, একে নিয়মিত ফলো-আপ বলা হয় ।
১ম বারঃ প্রয়োগের ১ মাস পর বা প্রথম মাসিকের পর অথবা ৩-৬ সপ্তাহের মধ্যে
২য় বারঃ প্রয়োগের ৬ মাস পর ± ১ মাস
৩য় বারঃ প্রয়োগের ১২ মাস পর ± ১ মাস
নিয়মিত ফলো-আপে সেবা প্রদানকারির করণীয়
·
গ্রহীতার আইইউডি সংক্রান্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বা জটিলতা বা কোন সমস্যা আছে কি-না তা শুনতে হবে ।
·
গ্রহীতার কোন প্রশ্ন বা কোন কিছু জানার থাকলে তা উত্তর দিতে হবে ।
·
স্পেকুলাম পরীক্ষা এবং দুই হাতে যোনিপথ, জরায়ু ও তলপেট পরীক্ষা করতে হবে-
·
সুতা ঠিকমত আছে কি-না তা দেখার জন্য ।
·
কোন সংক্রমণ আছে কি-না তা দেখার জন্য ।
·
যদি গ্রহীতা সামগ্রীকভাবে আইইউডি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে যে বিষয়গুলো পুনরায় মনে করিয়ে দিতে হবে তা হলো-
·
কি কি কারণে সেবাকেন্দ্রে আসতে হবে বা বিপজনক লক্ষণসমূহ ।
·
সুতা পরীক্ষার নিয়ম ।
·
আইইউডি’র মেয়াদকাল অর্থাৎ কতদিন পর আইইউডি খুলতে হবে ।
প্রসব-পরবর্তী আইইউডি ফলো-আপে করণীয়
·
গ্রহীতার কোন প্রশ্ন আছে কিনা বা কোন সমস্যা আছে কি-না তা জিজ্ঞাসা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী তাকে উত্তর দিতে হবে ।
·
সারভিক্স দেখার জন্য স্পেকুলাম পরীক্ষা করতে হবে ।
·
সুতা দেখা যায় কি-না তা দেখতে হবে । প্রসব-পরবর্তী আইইউডি’র ক্ষেত্রে সুতা দেখা যেতে ৪০ দিন থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে সুতা দেখা নাও যেতে পারে ।
·
যদি সুতা অনেক লম্বা থাকে, তবে সারভিক্সের মুখ থেকে ৩-৪ সে.মি. রেখে কেটে দিতে হবে ।
·
সুতা যদি দেখা না যায় এবং গ্রহীতা বলেন যে আইইউডি বের হয়ে যায়নি, তবে এ ব্যাপারে কাউন্সেলিং করতে হবে এবং আশ্বস্ত করতে হবে ।
·
কোন সংক্রমণ আছে কি-না দেখার জন্য পিভি পরীক্ষা করতে হবে ।
·
আইইউডি জনিত কোন সমস্যা হলে বা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে চাইলে গ্রহীতাকে সেবাকেন্দ্রে আসতে বলতে হবে ।
যদি গ্রহীতার আইইউডি বের হয়ে যায়, তাহলে গ্রহীতাকে অন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নেয়ার জন্য বলতে হবে বা যদি সে চায় তবে অন্য একটি আইইউডি (প্রসবের ৪ সপ্তাহ পর) প্রয়োগ করতে হবে ।
আইইউডি ব্যাবহারের সম্ভাব্য জটিলতা
·
অস্বাভাবিক রক্তস্রাব।
·
তলপেটে মোচড়ানো বাথা।
·
আইইউডি বের হয়ে যাওয়া।
·
সুতা হারিয়ে যাওয়া বা খুঁজে না পাওয়া।
·
তলপেটে প্রদাহ।
আইইউডির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
·
আইইউডি প্রয়োগের সময় সামান্য মোচড়ানো ব্যথা হতে পারে।
·
প্রয়োগের প্রথম কয়েকদিন সামান্য রক্তস্রাব ও সামান্য মোচড়ানো ব্যথা হতে পারে।
·
প্রয়োগের প্রথম কয়েকমাস দীর্ঘস্থায়ী মাসিক/ স্রাবের পরিমাণ বেশি হতে পারে।
·
মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে রক্তস্রাব হতে পারে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক আইইউডি
·
সরকারী পর্যায়ে ১০ বছর মেয়াদি ৩৮০ এ কপারটি যা বিনামুল্য এমসিডব্লিউসি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া হয় ।
·
এসমসি ব্র্যান্ডের হরমোন বিহিন ১০ বছর মেয়াদি TCu 380A (অপটিমা) আধুনিক পদ্ধতি অভিজ্ঞ ডাক্তার এর চেম্বারে দেয়া হয় ।
0 Comments